২. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা: মানুষকে আল্লাহ তায়ালা সামাজিক জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। সমাজের ভারসাম্য রক্ষায় এ বন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আত্মীয় স্বজনের প্রতি সুসম্পর্ক বজায় রাখার তাগিদ ইসলামী অপরিসীম। তাই এ সম্পর্ক ছিন্ন করা অভিশপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। আল্লাহ তায়ালা বলেন →আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকার করার পর যারা তা ভাঙ্গে সে সম্পর্ক আল্লাহ তায়ালা অক্ষুণ্ণ রাখতে আদেশ দিয়েছেন আর যারা তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে তাদের জন্যে রয়েছে অভিশাপ এবং তাদের জন্য রয়েছে মন্দ নিবাস।( সূরা রাদ আয়াত ২৫)
৩. মিথ্যাবাদিতা: মিথ্যা কথা বলা খুবই জঘন্য কাজ। মিথ্যুকদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ অনিবার্য। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তোমার কাছে জ্ঞান আসার পর যে ব্যক্তি এ বিষয়ে তোমার সঙ্গে তর্ক করে তাকে বলো এসো আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের, আমাদের নারীদের এবং তোমাদের নারীদের, আমাদের নিজেদের এবং তোমাদের নিজেদের। তারপর আমরা বিনীত আবেদন করি এবং মিথ্যুকদের দেই আল্লাহর অভিশাপ। (সূরা আল ইমরান আয়াত ৬১)
৩. (ক) কুফর: আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করার নাম কুফর। কাফিরদের জন্যে রয়েছে আল্লাহর অভিশাপ। মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন →যারা কুফরী করে, এবং কাফেররূপে মারা যায় তাদের প্রতি আল্লাহ সব ফেরেশতা ও মানুষের অভিশাপ। (সূরা বাকারা আয়াত ১৬১)
৩.(খ) মুনাফিকি: দুমুখো কপট মানুষ খুবই ইতর প্রকৃতির লোক। তাই মুখে ঈমান রেখের অন্তরে কুফরি গোপন করা মুনাফিকদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ মুনাফিক নারী-পুরুষ ও কাফিরদের আল্লাহ জাহান্নামের আগুনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেখানে তারা স্হায়ী হবে। সেটাই তাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাদের অভিশাপ দিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী শাস্তি।( সূরা তওবা আয়াত ৬৮)
৩.(গ) বিশ্বাসঘাতকতা: বিশ্বাসঘাতকতা এক অমার্জনীয় অপরাধ। আল্লাহর কাছেও মানুষের কাছেও। তাই বিশ্বাস ভঙ্গকারি অভিশপ্ত। আল্লাহতা’লা বলেন→ অঙ্গীকার ভাঙ্গার জন্য আমি তাদের অভিশাপ দিয়েছি। তাদের হৃদয় কঠোর করেছি। তারা শব্দগুলোর আসল অর্থ বিকৃত করে। তাদের যা উপদেশ দেয়া হয়েছিল তার একাংশ তারা ভুলে গেছে। তাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই ছাড়া সবাইকে তুমি সর্বদা বিশ্বাসঘাতকতা করতে দেখবে। আমাদের ক্ষমা করো এবং উপেক্ষা করো আল্লাহ সৎ লোকদের ভালোবাসেন। (সূরা মায়িদা আয়াত ১৩)
8. হত্যা ও খুনাখুনি: হত্যা ও খুনাখুনি আল্লাহ মোটেও পছন্দ করেন না।তাই তিনি হত্যাকারীকে অভিশপ্ত বলেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ইচ্ছে করে কেউ কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম। সেখানে সে স্থায়ী হবে। আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন। তাকে অভিশাপ দেবেন। তার জন্য প্রস্তুত রাখবেন মহাশাস্তি। (সূরা নিসা আয়াত ৯৩)
1 Comments
জহির মেলকার
ReplyDelete