আলুতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যার বেশ কয়েকটি ইতিবাচক স্বাস্থ্য প্রভাব রয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যের উপর আলুর উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হল।
1) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য কম সোডিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
কিন্তু এর জন্য বেশি পটাশিয়ামের প্রয়োজন। আলুতে এই দুটি জিনিসের সঠিক পরিমাণ থাকায় রক্তচাপ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
2) হার্টের জন্য - আলুতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি 6 যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ হার্টকে সুস্থ রাখে।
3) ক্যান্সার উপশম - আলুতে ফোলেট থাকে যা ডিএনএ। নির্মাণ ও মেরামত করতে সাহায্য করে।
ফলে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
এছাড়াও আলুতে থাকা ফাইবার কোলন ক্যান্সার সারাতে সাহায্য করে।
)) হাড়ের স্বাস্থ্য - আলুতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক, যা সবই হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। ফলে আলু শরীরের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে।
আলুতে ফসফরাসও থাকে যা অস্টিওপোরোসিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
5) হজম ক্ষমতা - যখন সঠিক পরিমাণে ফাইবার শরীরে প্রবেশ করে, তখন হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে থাকে।
6) কিডনির পাথর থেকে মুক্তি - পাচনতন্ত্র এবং পাচনতন্ত্র ঠিক থাকলে শরীরে পানির পরিমাণও ঠিক থাকে। এটি কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করতে পারে।
7) দাঁতের সমস্যা - ভিটামিন সি দাঁতের বা মাড়ির সমস্যার জন্য বেশ উপযোগী। তাই আপনি যদি প্রতিদিন এক টুকরো আলু দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করেন, তাহলে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
8) পেটের সমস্যা- যদি আপনার পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, আমাশয় বা হজমের সমস্যা থাকে, তাহলে আলু সেদ্ধ করে কিছু উপকার পেতে পারেন।
9) শরীরের ফোলা - আলুতে ফাইবার এবং অ্যান্টি -অক্সিডেন্টের পরিমাণ শরীরকে ইলেক্ট্রোলাইসিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফলে শরীর, হাত, পা বা শরীরের যেকোনো অংশ সহজেই ফুলে যাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
10) মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য- কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম এবং গ্লুকোজ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলুতে মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতেও ভূমিকা রয়েছে কারণ সব উপাদান একসঙ্গে আলুতে থাকে।
11) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা - আলু, বিশেষ করে মিষ্টি আলু ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত এই আলু খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
12) ওজন নিয়ন্ত্রণ - আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে প্রতিদিন আপনার
খাদ্য তালিকায় অল্প পরিমাণে আলু যোগ করতে ভুলবেন না। আলুতে খুব কম পরিমাণে
চর্বি আছে যা পেট ভরা থাকলেও ওজন বাড়ায় না।
13) কোলেস্টেরল - আলুতে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, খনিজ এবং পটাসিয়াম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে। এটি হার্টকে সুস্থ রাখে।
14) ঘুমের সমস্যার সমাধান - শরীরে সঠিক পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম
এবং ক্যালসিয়াম আপনার শরীরে ভারসাম্য এবং আরাম প্রদান করে যা আপনার স্নায়ুকে শান্ত করে
আপনি শান্তিতে ঘুমাতে পারেন। তাই আপনার যদি অনিদ্রা বা কম ঘুমের সমস্যা থাকে তবে আলু খাওয়া উপকারী হতে পারে।
15) PMS- মহিলাদের মাসিকের ঠিক আগে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা থাকে।
আলুতে রয়েছে সঠিক পরিমাণে প্রাকৃতিক মিষ্টি, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা সে সময় মেজাজ বদলাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম হওয়ার ফলে বিভিন্ন হরমোনজনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই সময়েও আলু খাওয়ার উপকারিতা স্বাস্থ্যের জন্য শক্তিশালী।
0 Comments