সবজি তোলা
1) ওজন হ্রাস -
পালং শাক ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি আয়রন, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য অনেক ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এগুলো শরীরে প্রবেশের পর ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত এই সবজিটিকে খাদ্য তালিকায় রাখেন, তাহলে আপনি অতিরিক্ত চর্বি হারাবেন।
2) কোলেস্টেরল কমাতে -
পালং শাকের সব পুষ্টিই শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
3) লবণের ভারসাম্যে -
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এই খনিজ শরীরকে সোডিয়াম বা লবণের হারানো ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।
4) রক্তচাপ কমাতে -
পালং শাকে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক করে। রক্তচাপ বাড়ার ঝুঁকি স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। পালং শাকের ফোলেট রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
5) মস্তিষ্কের জন্য -
পালং শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষকেও সুস্থ রাখে। তাদের তাজা এবং কার্যকরী রাখে। এটি মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
6) কোলনের জন্য -
পালং শাক ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। এই দুটি উপাদান কোলনের কোষগুলিকে রক্ষা করে।
6) আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওপোরোসিস -
বাতের ব্যথায়, অস্টিওপোরোসিসে ব্যথার ক্ষেত্রে পালং শাক খুব ভালো কাজ করে।
6) মাইগ্রেশন, মাথাব্যথা -
মাইগ্রেনের মতো মারাত্মক মাথাব্যথায় পালং শাকের পুষ্টিগুণ খুবই উপকারী।
9) বাত -
শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের রোগ সারাতে পালং শাক খুবই উপকারী। এর মধ্যে বাতের মতো সমস্যায় পালং শাক উপকারী। এটি বাতের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা ইত্যাদি ঝুঁকি কমায়।
10) স্মৃতি -
যদি এতে থাকা পটাশিয়াম, ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রতিদিন শরীরে যায়, তাহলে মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলস্বরূপ, স্মৃতিশক্তি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। একই সময়ে, পটাসিয়ামের কারণে, মনোনিবেশ করার ক্ষমতাও উন্নত হয়। তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে পালং শাক খুবই কার্যকর।
11) রক্তাল্পতা -
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি।এগুলো রক্তশূন্যতা দূর করে। প্রচুর পরিমাণে আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। ভিটামিন এ এর উচ্চ মাত্রা লিম্ফোসাইট বা শ্বেত রক্ত কণিকার প্রয়োজনীয় মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করে। বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে।
12) রোগ প্রতিরোধ -
বিভিন্ন ধরনের খাদ্যগুণের কারণে পালং শাক শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষমতা রাখে।
13) হজম ক্ষমতা -
পালং শাকের অ্যামিনো অ্যাসিড এমন একটি উপাদান যা বিপাকের হার বাড়াতে সাহায্য করে। এটি হজমের উন্নতি করে।
14) কোষ্ঠকাঠিন্য -
পেট পরিষ্কার রাখতে পালং শাক অপরিহার্য। এটি সহজে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলস্বরূপ, এটি অনায়াসে মল প্রস্তুত করতে সাহায্য করে এবং পেটে জমে থাকা মল বের করে দিতেও সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
15) কিডনির জন্য -
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি নিয়মিত এবং নিয়মিত পালং শাক খান, যদি এর পুষ্টিগুণের কারণে আপনার কিডনিতে পাথর থাকে, তাহলে এটি পাউডারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
18) ক্যান্সার প্রতিরোধ -
পালং শাকে রয়েছে 13 ধরনের ফ্লেভোনয়েড। এই ফ্লেভোনয়েডগুলি ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর।
16) তু সমস্যা -
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ। তাই পালং শাকের নিয়মিত ব্যবহার মাসিকের সমস্যা দূর করে।
16) জারা প্রতিরোধ -
পালং শাক ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এবং দাঁত ও হাড় ক্ষয় রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
19) জন্ডিসে -
জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য পালং শাক বিশেষ উপকারী।
20) চোখের জন্য -
পালং শাক চোখের জন্যও ভালো। পালং শাকের নিয়মিত ব্যবহার দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। ঝাপসা দৃষ্টি বা কম দৃষ্টি সমস্যা দূর হয়। এটি বিটা-ক্যারোটিন, লুটিন এবং জ্যানথিনে সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলি রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চোখের আলসার এবং শুষ্ক চোখের সমস্যা কমাতেও ভিটামিন এ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
21) চর্মরোগ -
পালং শাক দুটি অ্যান্টি -ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে যার নাম নিউক্সেথিন এবং ভায়োলাক্সানথিন। এই উপাদানগুলি শরীরের পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে এটি বিভিন্ন চর্মরোগ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
22) হৃদরোগ -
পালং শাকে রয়েছে লুটিন নামক উপাদান যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা ফলিক অ্যাসিড একটি সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
23) হার্ট পেশী -
পালং শাকের বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডের পেশীকে সুস্থ ও সবল রাখে। এর দক্ষতা বাড়ায়। এটি হাইপারলিপিডেমিয়া, হার্ট ফেইলিওর এবং করোনারি হার্ট ডিজিজের মতো রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
24) পেশীর জন্য -
পালং শাকের মধ্যে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্রের পাশাপাশি সারা দেহের অন্যান্য পেশীকে শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফলে শরীরের সামগ্রিক কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
25. চরম রশ্মি -
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি।এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতি রোধ করে। ফলে প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ত্বকের ক্যান্সারের মতো রোগের সম্ভাবনা দূর হয়। জেনে নিন কেন আপনি কাঁচা আম খান? 32 সুবিধা
26) ব্রণের সমস্যা -
ব্রণের সমস্যায় পালং শাকের প্যাক উপকারী। কিছু পালং শাক নিন এবং তাতে সামান্য পানি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি মুখে ভালভাবে লাগান এবং কমপক্ষে 20 মিনিটের জন্য রাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন এটি করলে ভিতরে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ থেকে মুক্তি মিলবে। সেবামের উৎপাদনও কমে যাবে। ব্রণের মারাত্মক মানসিক পরিণতি হতে পারে। নিয়মিত পালং শাকের রসও সমান সুবিধা দেয়।
26. শরীর ঠান্ডা করতে -
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পালং শাক শরীরকে অপ্রয়োজনীয় তাপ কমিয়ে ঠান্ডা ও নরম রাখে।
26) চুল পড়া -
অতিরিক্ত চুল পড়ার ক্ষেত্রে, চুলের যত্নে পালং শাক উপকারী। পালং শাকে উপস্থিত আয়রন চুলের ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনার পাশাপাশি শরীরে লোহিত রক্তকণিকার ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে পালং শাকের রস চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তারপর ধুয়ে ফেলা হয়। সুবিধা আছে। তা ছাড়া নিয়মিত পালং শাকের রস উপকারী।
29) তারুণ্য ধরে রাখতে -
বয়সের ছাপ আড়াল করতে পালং শাক খুবই ভালো খাবার। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ হল কোষের ক্ষয় রোধ করে শরীরকে তারুণ্য ধরে রাখা। সুস্থ ও সতেজ রাখুন।
30) ফর্সা ত্বকে -
পালং শাকে উপস্থিত ভিটামিন কে এবং ফোলেট ত্বককে সাদা করে। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে। ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
0 Comments