*অতিরিক্ত ওজন শুধু আপনার শারীরিক সৌন্দর্যই নষ্ট করে না বরং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই নিজেকে সুন্দর ও ফিট রাখতে হলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সব সময়। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে ওজন কমানোর নতুন উপায় বের করেছে। তারা বলছেন, নিয়মিত দই-কালোজিরার মিশ্রণ খেলে এক মাসে প্রায় ১৫ কেজি ওজন কমবে। একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারা প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, 44 জন স্থূল মানুষের উপর এই মিশ্রণের প্রভাব পরীক্ষা করা হয়েছে এবং যদি এই দই-কালো জিরার মিশ্রণটি প্রতিদিন খাওয়া হয়, তাহলে অন্তত 15 কেজি ওজন কমানো সম্ভব। মাস এটি খুবই ঘরোয়া পদ্ধতি। আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে না। রান্নাঘরের জিনিস দিয়ে দ্রুত কাজ করা যায়। একটি পাত্রে এক চা চামচ কালোজিরা গুঁড়ো এবং এক গ্লাস পাতলা টক দই মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খান। বিজ্ঞানীদের মতে, এই মিশ্রণ শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে চর্বির পরিমাণ কমে যায় এবং শরীরের ওজন দ্রুত কমে যায়।
*কালিজিরা পেটের জন্য ভালো। আরো অনেক গুণ আছে। মশলা বা উপকারী ওষুধের কথা উঠলেই চলে আসে এই মিহি কালো দানার নাম। ওজন কমানোর জন্য কালিজি সবচেয়ে উপকারী। এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা নিয়মিত কালিজিরা খান তারা দ্রুত ওজন কমাতে পারেন। কালিজিরার ১২টি গুণ সম্পর্কে জানুন:
1. স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মনোযোগ ধরে রাখে। যারা অস্থিরতায় ভোগেন তাদের জন্য কালিজিরা খুবই উপকারী।
2. রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের জন্য কালিজিরা খুবই কার্যকরী।
3. রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি দেয়।
4. হার্ট সুস্থ রাখে।
5. কালিজিরা বাত বা জয়েন্টের ব্যথা উপশমে কার্যকর।
. যারা মাথাব্যথায় ভোগেন তাদের জন্য কালিজিরা উপকারী।
. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
. ব্রণ দূর করে।
9. চুল পড়া রোধে খুবই কার্যকরী।
10. দাঁত শক্ত করে।
11. যারা হাঁপানিতে ভুগছেন তাদের জন্যও উপকারী।
12. কালিজিরা পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য, লিভারের সমস্যা বা জন্ডিস থেকে দ্রুত আরোগ্যের জন্য উপকারী।
কিভাবে খাব
*ওজন কমাতে কীভাবে খেতে হবে তা জানুন। নিয়মিত কয়েকটি কালিজিরা দানা খেলে মেদ ঝরতে শুরু করবে। কালিজিরাতে রয়েছে এক বিশেষ ধরনের ফাইবার, যা অতিরিক্ত খাওয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খাবারে সামান্য কালিজিরা যোগ করলে স্বাদ যেমন বাড়ে তেমনি পুষ্টিগুণও বাড়ে।
*1. জল, লেবু এবং মধুর সাথে: হালকা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে প্রথমে খান। এবার কুসুম গরম পানির সাথে কয়েকটি কালিজিরার বীজ খান। শেষে এক চামচ মধু খান। কালিজিরা খাওয়ার আরেকটি উপায় হল হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে তাতে কালিজিরা গুঁড়ো মেশাতে হবে। তিন বা চারটি দানা গুঁড়ো করে লেবুর পানিতে মেশাতে হবে। কারণ, বেশি কালিজি যোগ করলে হজমে গোলমাল হতে পারে। তারপর সেই পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে চর্বি কমবে এবং পেশী তৈরি হবে।
*2: লেবু ও কালিজিরা: একটি পাত্রে কিছু কালিজিরা রেখে তাতে লেবুর রস ছেঁকে নিন। কালিজিরা ভিজে গেলে আবার রোদে শুকিয়ে নিন। 8-10টি কালিজিরা দানা দিনে দুবার খান। পেটের মেদ কমতে শুরু করবে।
*3. শাকসবজিতে: যখনই আপনি কোনও সবজি গ্রিল করবেন, সস বা সালাদ তৈরি করবেন, তখন পুষ্টিগুণের কথা মাথায় রেখে কয়েকটি দানা কালিজিরা যোগ করুন। প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর এটাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
হাজারো রোগ থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরার গুণাগুণ নিশ্চয়ই অজানা নয়! মধুর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু এই দুটি উপাদান একসঙ্গে খেলে কী হয় তা জানলে জাদুকর অবাক হবেন।
কালোজিরা তেলে 100 টিরও বেশি দরকারী উপাদান রয়েছে। যৌবন ধরে রাখার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ব্ল্যাকবেরি খাওয়ার প্রচলন অনেক আগে থেকেই। তাছাড়া এই কালোগুলো কাজের ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে প্রায় 21 শতাংশ আমিষ, 36 শতাংশ চিনি এবং 35 শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি রয়েছে।
মানুষ দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে খাবারের সঙ্গে ‘কালোজিরা’ সেবন করে আসছে। কালোজিরার মতো এটি থেকে তৈরি তেলও আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী। আসুন জেনে নেওয়া যাক সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা-
> ব্ল্যাকবেরি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সতেজ থাকে। এটি শরীরকে যেকোনো জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তাই সকালে কালোজিরার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
> ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা ও মধু দারুণ ভূমিকা রাখে। কালোজিরা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমায়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* > ব্ল্যাকবেরি নিম্ন রক্তচাপ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ কমায়। ফলে শরীরে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় থাকে। তাই কালোজিরার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
*>কালোজিরা ও মধু নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে জাদুর মতো কাজ করে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কালোজিরা খেলে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ে। তাছাড়া মধু ও ব্ল্যাকবেরিও পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে।
*> নিয়মিত কালোজিরা ও মধু খেলে শরীরে রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটে। এটি মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
*> অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা সমাধানে কালোজিরা দারুণ কাজ করে। প্রতিদিন কালোজিরার পেস্ট খেলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরার সঙ্গে মধুও খেতে পারেন।
> পিঠের ব্যথায় ভুগছেন? কালোজিরা থেকে তৈরি তেল আমাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি বাত এবং পিঠের ব্যথা বাসা বাঁধতে সাহায্য করে। এছাড়াও সাধারণভাবে ব্ল্যাকবেরি এবং মধু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
*> ব্ল্যাকবেরি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত কালোজিরা ও মধু খেলে শিশুর দ্রুত শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। ব্ল্যাকবেরি শিশুর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতেও অনেক কিছু করে।
সতর্ক করা
*একবারে খুব বেশি কালিজি খাবেন না। এতে পিত্তের সমস্যা হতে পারে। যে সকল নারী সন্তান প্রত্যাশী তাদেরও কালিজিরা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কালিজি শরীরকে অতিরিক্ত গরম করে।
*বেশি করে ব্ল্যাকবেরি খেলে কী কী উপকার হয়, প্রতিদিন ব্ল্যাকবেরি খেলে কী ক্ষতি হয়, কীভাবে ওজন কমানো যায়, টানা ৭ দিন ব্ল্যাকবেরি খেলে কী কী উপকার হয়, ব্ল্যাকবেরি খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলি, ব্ল্যাকবেরি খেলে কী হয় সকালে খালি পেটে, আর অপকারিতা, ব্ল্যাকবেরি খাওয়ার ইসলামিক নিয়ম, রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা
0 Comments